মোঃ জিহাদুল ইসলাম /এম.নাজিম উদ্দিন: বন্ধের নির্দেশ উপেক্ষা করে পটুয়াখালী বাউফলের বেসরকারি হাসপাতাল সেবা ডায়গনোষ্টিক সেন্টার অ্যান্ড ক্লিনিকের কার্যক্রম চলছে। একজন প্রসূতির সিজার অপারেশনের পর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করে গত ২২ অক্টোবর হাসপাতালটি বন্ধের নির্দেশ দেন পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন। ওই নির্দেশ উপেক্ষা করে সেবা ক্লিনিক কৃর্তপক্ষ সিজার অপারেশনসহ নানা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর চিকিৎসকের অবহেলায় ওই ক্লিনিকে নিপা রানী নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। এরপর পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনের নির্দেশে ওই ঘটনার তদন্ত হয়। ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধন নবায়ন করা ছিল না। ওটি নার্স ডিপ্লোমাধারি ছিল না। সিজারিয়ানের পর ফলোআপের জন্য এমবিবিএস সনদধারী কোন চিকিৎসক নিয়োগপ্রাপ্ত ছিল না। ক্লিনিকটি অপরিচ্ছন্ন ও অপরিসর। ১০ বেডের অনুমোদন থাকলেও ক্লিনিকে ১৬টি বেড পাওয়া যায়। অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি পুরানো। পোস্ট অপারেটিভ ব্যবহার অনুপযোগী। ডায়াগনস্টিকের এসি বন্ধ, ফ্রিজ নষ্ট, রিএজেন্ট নিম্নমানের কোম্পানীর, পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর, মেশিন অপ্রতুল এবং বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন সেবা ক্লিনিক অবস্থিত। এসব কারণে ক্লিনিকটি বন্ধের জন্য গত ২২ অক্টোবর পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন আদেশ প্রদান করেন। ওই আদেশ উপেক্ষা করে ক্লিনিক কতৃপক্ষ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নাকের ডগায় স্বাভাবিক ভাবেই চলছে ক্লিনিকের সার্বিক কার্যক্রম। সেবা ক্লিনিকের স্বত্তাধিকারি নাজমুন্নাহার স্বপ্না বলেন, বর্তমানে আমি ঢাকায় আছি। এখন এ বিষয় নিয়ে আমি আপনার সাথে কথা বলতে রাজি না। বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, নির্দেশের পরও কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সেবা ক্লিনিক। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দ্রুত ওই ক্লিনিকের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।