বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলা চরফ্যাশনে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুতে এলাকায় ধ্রুমজালের সৃষ্টি হয়েছে। মৃত তোফাজ্জলের ছেলে জাকিরের স্ত্রী নাজমা স্বামীর নির্যাতনে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। নিহত নাজমা বেগম(৩০) দক্ষিণ আইচা থানার চর আইচা গ্রামের মৃত মা:মোস্তফার মেয়ে। গত ২৩ মার্চ ২০২১ মঙ্গলবার সকালে চরআইচা ৭ নং ওয়ার্ড নাজমার শ্বশুরালয়ে এই ঘটনাটি ঘটে। মৃত নাজমার ভাই নূর মোহাম্মদ শোয়াইব জানান,ঘটনার দিন সকালে আট কপাট তুলা গাছিয়ায় চেয়ারম্যান বাজার আমার দাদার অসুস্থ্য থাকায় আমি তাকে দেখতে যাই। ঠিক ওই সময় আমার বোন জামাই নাজমার স্বামী জাকির আমাকে ফোন করে বলে; তারা তারি গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসতে এই বলে ফোনের লাইন কেটে দেয়। পুনরায় আমি তাকে ফোন করে কারন জানতে চাইলে জাকির আমাকে জানান,সকালে নাজমাকে মেরেছি। এরপর আমি বাজারে চলে যাই,শুনেছি সে গ্যাস্টিকের ঔষাধ সেবন করে ছল্লিবল্লি করে,আমি খবর পেয়ে বাড়ীতে এসে তাকে গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এনেছি। তার অবস্থা খারাপ দেখে চরফ্যাশন হাসপাতালে রেপার করেন। সোয়াইব আরো জানান,তৎক্ষনাত আমি আমার বড় বোন জামাইকে নিয়া হুন্ডা যোগে খুব দ্রুত চরফ্যাশন হাসপাতালে যাই। হাসপাতালে গিয়া দেখি জাকিরদের কেহই নেই,শুধু পরে আছে আমার বোন নাজমার লাশ। আমি কোন উপায় না পেয়ে চরফ্যান থানায় ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাই,তারা বলেন দক্ষিন আইচা থানায় অবগত করার জন্য। আমার মামা অহিদ প্রপেসর ও ফরহাদ ভুইয়াসহ দক্ষিন আইচা থানায় যাই। দক্ষিন আইচা থানার ওসি, নাজমার মৃত দেহ পোস্টমর্টেম করার জন্য ভোলা মর্গে পাঠান। পোস্টমর্টেম শেষ হওয়ার পর নাজমার মৃত দেহ এনে ২৪ মার্চ ২০২১ ইং সকাল ৯টার সময় দাফন সম্পন্ন করি। আমি ওসি স্যারকে জিঙ্গাসা করি আমার বোন কিভাবে মারা যান তিনি বলেন,পোস্টমটেম রিপোট বের হলেই জানতে পারবো। তবে তার শরীরে প্রচুর পরিমান আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমার বোন নাজমার হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে ৬ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে। আসামীরা হলেন,মোঃ জাকির,নুরভানু, মর্জিনা বেগম, হাওয়ানুর,মজিবল,ও বাবুল। নিহত নাজমার পরিবারের দাবী, স্বামী জাকির তাকে হত্যা করেছে। তাই তারা খুনিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।