মোঃ মিজানুর রহমানঃ
কক্সবাজার শহরে বসবাস করেন এমন অনেকেই হয়তো জানেন না, এখানে বসে পাহাড়ী পণ্যের হাট।। কক্সবাজার শহরের প্রাণ কেন্দ্র বার্মিজ স্কুল কাজী অফিস রোডে শনি ও মঙ্গল বারে বসে বিশেষ হাট। ভোর ৬টায় শুরু হয়ে ৯টায় শেষ হয় এ হাট। নাইক্ষাংছড়ি, রামু সহ বিভিন্ন পাহাড়ে বসবাস উপজাতীরা এ হাটের বিক্রেতা, আর শহরে বসবাসরত রাখাইনরা এখানকার প্রধান ক্রেতা। কলা, কলা গাছের ব্রকুলী, কলার থোড়, পেঁপে, হর (টক) পাতা, কচু শাক, মিষ্টি কুমড়া, ফুলের ঝাড়ু ইত্যাদি এখানকার বিক্রয় পণ্য। সৈকত থেকে কুড়ানো বিভিন্ন ধরনের শামুক-ঝিনুক ও হেজালা (সামুদ্রিক শৈবাল) হাটে বেচা-কেনা হয়। পাহাড়ের জুমে চাষের ফলের প্রতি রয়েছে আদিবাসীদের দুর্বলতা, তাই হাটের দিন আনন্দের সাথে নিজ পছন্দের পণ্য নিয়ে যান পরিবারের জন্য। হাটের ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে মিল রয়েছে দারুন উভয়েই নারী। আধিবাসীরা বেশীরভাগই নারী প্রধান পরিবার। কথা হয় বাজারে পেঁপে, কলা, কচু শাক ও ফুলের ঝাড়ু বিক্রি করতে আসা তাহি থাইছি-র সাথে। ভোর রাত্র ৪টায় পাহাড়ী জনপথ নাইক্ষাংছড়ির সোনাইছড়ি হতে অনেকখানি পথ পায়ে হেঁটে, অটো রিক্সা ও সিএনজিযোগে পৌছান কক্সবাজারে। পাহাড়ে জুমে চাষ করা ও গহীন জংগল থেকে সংগ্রহ করেন এসকল সব্জি ও ফল। দুই-তিন দিন ধরে এগুলো সংগ্রহ করে হাটে নিয়ে আসেন। হাটে পণ্য বিক্রি করে আজ ৫শত টাকা লাভ হয়েছে যাওয়ার সময় শহর থেকে মাছ, ডিম ও তৈল নিয়ে যাবেন। সপ্তাহে দুই দিন এ হাটে আসেন তিনি। স্থানীয় দোকানদার নয়ন জানান, প্রতি হাটে ৪০-৫০ জন নারী এ হাটে পাহাড়ী সব্জি ও ফল বিক্রি করতে আসে। বছর পাঁচ ধরে এখানে পাহাড়ী হাট বসছে। রাখাইন ছাড়াও স্থানীয় মুসলিম হিন্দু সহ সকল সম্প্রদায়ের ক্রেতাও আসেন এ হাটে।