বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সার্বিক দিক বিবেচনা করলে জাতীয় লেভেলের এনজিও, আশা, ব্রাক ও গ্রামীণ ব্যাংক, কোস্ট ট্রাস্ট ছাড়া বাকি বেশিরভাগ এনজিওগুলোর কর্মীদের চাকুরির নিরাপত্তা ও বেতন কাঠামো খুবই দুর্বল । সেক্ষেত্রে প্রধান কার্যালয়ের কর্মী ও লোকালের কর্মীদের বেতন পার্থক্য ব্যাপক । সরকারীভাবে সচিব থেকে শুরু করে বিভিন্ন গ্রেড করে বেতন নির্ধারণ করার গেজেট থাকলেও এনজিও গুলোতে তেমন কোন বাধ্যবাধকতা না থাকার কারনে এখানে বেতন বৈষম্য খুবই প্রকট ।
উদাহরণ স্বরুপ বলা যেতে পারে কোন কোন সংস্থায় হয়তো কর্মীর বেতন ১৫ হাজার থেকে শুরু কিন্তু প্রধান কার্যালয়ের কর্মীর বেতন শুরু ৪০ হাজার টাকা । যা খুবই দৃষ্টিকটু । এখানে গ্রেড ভাগ না থাকার কারণে এবং সেরকম কোন নীতিমালা না থাকার কারণে ইচ্ছামতো বেতন নির্ধারণ করছে কিছু কিছু এনজিও, যার কারণে উচ্চপদের লোকজনের জীবনমান উন্নয়ন হলেও পিছনে পড়ে থাকছেন কর্মীরা ।
তাই সরকারীভাবে এই বেতন বৈষম্য নিরসনে জরুরী উদ্যোগ থাকা জরুরী । পাশা-পাশি বিভিন্ন দাতা সংস্থারও উচিত এ বিষয় মনোনিবেশ করার ।
এনজিও কর্মীদের বেতন বৈষম্য দূর করতে না পারলে এবং চাকুরি ও বেতনসহ সকল কিছুর নিশ্চয়তা না দিতে পারলে এই এনজিও সেক্টরে মেধাবীরা টেকসই হবেনা এবং উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হবে । সুতরাং এনজিও কর্মীদের বেতন বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন । এই দায়িত্ব সরকারের উপরে বর্তায়।
তা না হলে সামাজিক ভাবে পদক্ষেপ নিবে সাধারন এনজিও কর্মীরা